কৃষ্ণচূড়ার ডালের রং লেগেছে মডেল সানজানা ‍আইভি বর্ষার গায়ে

কৃষ্ণচূড়ার ডালে রং লেগেছে। বৃক্ষরাজিতে গজিয়েছে নতুন পাতা পুরনো পাতা পড়েছে ঝরে। কোকিলের মিষ্টিসুরের কুহুতানে প্রকৃতি হয়েছে মুখরিত। ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত।
কোকিলের কুহু ডাক আর গাছে গাছে রক্ত পলাশ ও আম্রমুকুলের আগমনে প্রকৃতিতে বসন্তের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছে ঋতুরাজ। আজ ফুলেল বসন্ত, মধুময় বসন্ত, যৌবনের উদ্দামতা বয়ে আনার বসন্ত আর আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও উদ্বেলতায় মন-প্রাণ কেড়ে নেওয়ার প্রথম দিন। প্রকৃতিকে রাঙিয়ে আজ ঋতুরাজের রাজসিক আগমন ঘটেছে বাঙালির জীবনে। আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে, তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে, কোরো না বিড়ম্বিত তারে, আজি খুলিয়ো হৃদয় দল খুলিয়ো, আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো, এই সংগীতমুখরিত গগনে তব গন্ধ করঙ্গিয়া তুলিয়ো’ কবিতায় কবিগুরু এভাবেই মেতে উঠেছিলেন ঋতুরাজের বন্দনায়। রবিঠাকুরের মতো দ্রোহ, প্রেম, চেতনার কবি নজরুলও কবিতার পঙক্তিতে গেয়েছেন বসন্তের জয়গান।
একদিকে নজরুল বলেছিলেন-এলো বনান্তে পাগল বসন্ত, বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায়রে, চঞ্চল তরুণ দুরন্ত, বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর, পাণ্ডু-কপোলে জাগে রং নব অনুরাগে, রাঙা হল ধূসর দিগন্ত। অন্যদিকে রবীন্দনাথের ১৪০০ সাল কবিতার প্রতি উত্তরে নজরুল ১৪০০ সাল নামেই একটি কবিতায় লিখেছিলেন-‘আজি নব বসন্তের প্রভাত বেলায়, গান হয়ে মাতিয়াছ আমাদের যৌবন মেলায়’। নজরুল আরও লিখেছিলেন ‘সহসা খুলিয়া গেল দ্বার, আজিকার বসন্ত প্রভাতখানি, দাঁড়াল করিয়া নমস্কার’,‘শতবর্ষ আগেকার, তোমারি বাসন্তিকা দ্যুতি, আজি নব নবীনেরে জানায় আকুতি’।
বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সে থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। এছাড়া তরুণ-তরুণীরা বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশের বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শাহবাগ, চারুকলা চত্বর, পাবলিক লাইব্রেরি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ধানমন্ডি লেক, বলধা গার্ডেন মাতিয়ে রাখবে সারা দিন।

কোন মন্তব্য নেই

sebastian-julian থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.